অনেক ফড়িয়া ধানের মজুদ করছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে না।

সোমবার (২৮ জুন) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে প্রান্তিক কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষার্থে খাদ্য কর্মকর্তাদের ওপর মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে এপিএ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সফল বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এটাকে শুধু চুক্তি মনে করলে হবে না। 

সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাভুক্ত দফতর ও সংস্থাগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খাতুনের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দফতর ও সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মো. মুজিবুর রহমান এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার নিজ-নিজ দফতর ও সংস্থার পক্ষে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন খাদ্য সচিব। 

পরে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য দফতর ও সংস্থার মধ্যে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার এবং অফিস সহায়ক মো. সুমন মিয়ার হাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী।

এসএইচআর/জেডএস