আনুশকা হত্যা: দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
কলাবাগান থানার সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর কলবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ইফতেখার ফারদিন দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মূল আসামি দিহান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে তিনি একাই এ ঘটিনায় জড়িত, তাই আটক তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কালবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আনুশকার বাবা মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬। মামলায় তার অভিযোগ, মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
• দায় স্বীকার করে দিহানের জবানবন্দি
• দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
• ধর্ষণ করা হয়েছে, অভিযোগ আনুশকার বাবার
• পারস্পরিক সম্পর্ক ও সম্মতির ভিত্তিতে মেলামেশা, দাবি দিহানের
• মামলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ফারদিন দিহান শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আদালত আগামী ২৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজহারে মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে তিনি ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। বেলা সাড়ে ১১টায় আনুশকা কোচিংয়ের পেপার আনতে বাইরে যাচ্ছে বলে ফোনে তার মাকে জানায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আনুশকা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এজহারে মো. আল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আনুশকার মাকে ফোন দেয়। সে জানায়, আনুশকা তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়। এ কথা শুনে আনুশকার মা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
আনুশকার বাবা এজাহারে বলেন, তারা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন দিহান তার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে বেলা ১২টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে দিহান ফাঁকা বাসায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে আনুশকা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিহান তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমএসি/এইচকে