করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। মহামারিকালীন তাদের এই অবদান স্বরূপ ২০ হাজার ৫০০ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে বিশেষ সম্মানী দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা শুরু থেকেই করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন। তাই করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ২০ হাজার ৫০০ চিকিৎসক ও নার্সকে ১০৪ কোটি টাকা বিশেষ সম্মানী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও বিদ্যমান থাকায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মোকাবিলায় আমরা এ বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রুততম সময় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১০ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে অভিঘাত থেকে মুক্তি পেতে সমন্বিত বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাজেটে এ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকা কেনার জন্য বাজেটে আমরা ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বিভিন্ন উৎস থেকে ইতোমধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছি। যারা বিদেশে যাচ্ছে তাদের আগে টিকা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে বিদেশে গিয়ে তাদের কোয়ারেন্টাইন করতে না হয়। তারা যেন কর্মস্থলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা বিবেচনায় রেখে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়।

টিআই/এসএসএইচ