প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আজ চট্টগ্রামে মূল রাস্তার আশপাশে দোকানপাট বন্ধ ও লোকজনের চলাচল সীমিত দেখা গেছে। রিকশা ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন নেই। কিন্তু অলিগলিতে লোকজনের জটলা দেখা গেছে। 

শুক্রবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুপুরে নগরীর বাটালী রোড, কাজির দেউড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে মানুষের জটলা। অনেকেই অলিগলিতে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। 

তবে নগরীর প্রবেশপথ ও মূল সড়কগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্টের কারণে যানবাহন চলাচল নেই বললেন চলে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেইট ও নতুন ব্রিজে এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করছে সেনাবাহিনী। তবে জরুরি প্রয়োজনে মানুষজনকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। 

এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীতে ২০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। নগরীর বিআরটিসি ও কদমতলী এলাকা ঘুরে রাস্তায় রিকশা ছাড়া তেমন যানবাহন চোখে পড়েনি। দুই একটি প্রাইভেট কার বের হলেও চেকপোস্টে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে। যারা নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে পারছেন তাদের যেতে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। 

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকেই মাঠে কাজ করছি। নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে না পারায় পাঁচটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আর অলিগলিতেও কেউ অনর্থক জটলা করে আড্ডা দিতে না পারে সেজন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকেই তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীতে দায়িত্ব পালন করছে। কেউ আইন অমান্য করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রথমদিকে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম নগরীর বিআরটিসি এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক সাইদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল থেকেই রাস্তায় মানুষজন কম। তাই ভাড়াও পাচ্ছি না। এছাড়া মসজিদে জুমার নামাজে আসা অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। 

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গতকাল (১ জুলাই) থেকে দেশে শুরু হয়েছে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া দেশব্যাপী এ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এবারের লকডাউনকে সফল করতে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কঠোর লকডাউন চলাকালে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।  

কেএম/এইচকে