লকডাউনে কষ্টে আছেন সদরঘাটের মাঝিরা
‘যাত্রী পাই না, খাব কী? লকডাউনে কারণে যাত্রী নেই। অল্প-স্বল্প যাত্রী বহন করে যা পাই, ঘাট মালিকদের টাকা দিয়ে আমাদের হাতে কিছু থাকে না। আমাদের দেখার কেউ নেই।’
রোববার (৪ জুলাই) আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেন বুড়িগঙ্গার লালকুঠি ঘাটের মাঝি আব্দুল মজিদ।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামবাজার ঘাট, ওয়াইজ ঘাট, তেল ঘাট, লালকুঠি ঘাট, ফরাশগঞ্জ ঘাট, বাদামতলী ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে নেই যাত্রী ও মাঝিদের হৈচৈ। যাত্রীদের অপেক্ষায় ঘাটে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন নৌকার মাঝিরা। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন যারা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পার করতে দেখা যায় মাঝিদের। তবে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামবাজার ঘাটে কয়েকজন মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১লা জুলাই থেকে যাত্রী পাই না সহজে। লকডাউনের আগে ২-৫ মিনিট অপেক্ষা করলে নৌকা ভর্তি হয়ে যেত। এখন আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেও যাত্রী পাই না। আগে নদীতে যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৫ টাকা। ৬ জন করে নেওয়া হতো। রিজার্ভে ভাড়া ছিল ২০ টাকা। লকডাউনের কারণে একটি নৌকায় জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় সর্বোচ্চ ৩ জন যাত্রী এবং সিঙ্গেলে ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সর্বাত্মক লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকায়, স্বল্পপরিসরে চলছে সদরঘাটের মাঝিদের জীবনের বৈঠা। মাঝিরা জানান, লকডাউনের আগে তাদের দৈনিক আয় ছিল গড়ে ৫০০ টাকা। এখন তা নেমে এসেছে গড়ে দেড়শ টাকার নিচে।
এমটি/এইচকে