ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অনলাইনে যারা কোরবানির ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনবেন তাদের ডিএনসিসিতে কোনো হাসিল দিতে হবে না। তবে যারা হাটে গিয়ে সশরীরে গরু কিনবেন তাদের অবশ্যই হাসিল দিতে হবে।

রোববার (৪ জুলাই) ভার্চুয়াল এক সভার মাধ্যমে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাটেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে প্রায় ২৫টি ফ্রিজাপ ভ্যান আছে, গরুর জবাই করার পর মাংস বাসায় পৌঁছে দেবো। এসব গরু জবাইয়ের জন্য আমরা একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি। সেখানে এক হাজার গরু কোরবানি করা যাবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট থেকে যারা গরু কিনবেন তারা  বুকিং দিলে আমরা কোরবানি করে তাদের বাসায় পৌঁছে দিতে পারব। গরু কোরবানির সার্বিক কার্যক্রম একজন ক্রেতা অনলাইন ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পারবেন। এক হাজার গরু কোরবানির জন্য এই সার্ভিস আমরা দিতে পারব। 

তিনি বলেন, এবারের ডিজিটাল হাটে স্ক্রো পদ্ধতি মানা হবে। এটার মাধ্যমে যিনি গরুটা কিনবেন সেই টাকা তাৎক্ষণিক বিক্রেতা পাবেন না। এটা চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি একাউন্টে। যখন ক্রেতা কনফার্ম করবেন গরুটা পেয়েছেন এবং কোনো অভিযোগ নেই তখন গরুর বিক্রেতা টাকা পাবেন। এই স্ক্রো পদ্ধতিটা আমরা এবার এই ডিজিটাল হাটে যুক্ত করেছি।

এবারের ডিজিটাল হাটের আরও জনসম্পৃক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গতবার ডিজিটাল হাটে ৩ সপ্তাহে আমরা বিক্রি করেছিলাম ২৭ হাজার গরু। আর এবার এক লাখ গরু অনলাইনে বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে। এক লাখ গরু বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৫ লাখ মানুষকে আমারা হাটে আসা থেকে বিরত রাখতে পারব।

আজ (রোববার) থেকে দ্বিতীয়বারের মত চালু হলো কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট। এবারের ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন : কোরবানির ডিজিটাল হাটে সাধারণ খামারিরা যেভাবে পশু বিক্রি করবেন

রোববার (৪ জুলাই) ভার্চুয়াল এক সভার মাধ্যমে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাটে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। 

দ্বিতীয়বারের মতো চালু হলো কোরবানির পশুর এই ডিজিটাল হাট। এবারের ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন। 

‘ডিজিটাল কোরবানির হাট’ বসানোর জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ইতোমধ্যে সংস্থাটি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সঙ্গে একটি চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জানা গেছে, ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ, পশু সংরক্ষণের নিরাপত্তা প্রদান, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পশু চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়গুলো ডিএনসিসি নিশ্চিত করবে। ডিএনসিসি, ই-ক্যাব ও বিডিএফএর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআইয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাট এবার বসেছে।

ই-ক্যাব জানায়, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে পশু বিক্রির কী কী নিয়ম মানতে হবে, কী কী তথ্য থাকতে হবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএ’র অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে পারবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল রাখা হয়েছে। হাটের ওয়েব ঠিকানা-  www.digitalhaat.net। ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তা দিতে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তার সাময়িক স্ক্রো (ESCROW) সেবা ব্যবহার করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ডিজিটাল হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার প্রমুখ।

এএসএস/এইচকে