দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রেকর্ড ১৫৩ জনসহ আজ রোববার (৪ জুলাই) মৃত্যুর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জনে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুন করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়ায়। সেদিন ৭৭ জনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ৫৩ জনে।

অর্থাৎ মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার বাড়তে সময় লাগল মাত্র এক সপ্তাহ। এই এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের।

এর আগে গত ১১ জুন দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার অতিক্রম করেছিল মে মাসের ১১ তারিখে। আর তার আগে ২৫ এপ্রিল ১১ হাজার পার হয়েছিল মৃত্যু। 

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এর মাত্র এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। এরপর ওই বছরের ১০ জুন তা ১ হাজার ছাড়িয়েছিল।

মাস না পেরোতেই গত বছরের ৫ জুলাই আরও এক হাজার মানুষ যোগ হয় মৃত্যু তালিকায়। এরপর তালিকায় নতুন এক হাজার যোগ হতে লেগেছিল মাত্র ২৩ দিন। ২৮ জুলাই মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছায়। 

গত বছরের ২৫ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজারে পৌঁছে। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ছাড়ায় পাঁচ হাজার।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকে। গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি- এই ৫ মাসে মৃত্যু হয় সাড়ে ৩ হাজার জনের। মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। ৩১ মার্চ মৃত্যুর সংখ্যা নয় হাজারে পৌঁছে। এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও ১ হাজার মানুষের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। 

এপ্রিল থেকে করোনা মহামারিতে যুক্ত হয় নতুন আতঙ্ক ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’। এটি ভারতে তাণ্ডব চালানোর পর বাংলাদেশেও ঢুকে পড়ে। এর প্রভাবে দেশে মৃত্যুর গ্রাফ দিনদিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর ১৫ হাজারের মধ্যে ৩য় ‘৫ হাজার’ হয়েছে মাত্র আড়াই মাসে। আগের ৫ হাজার হয়েছিল প্রায় ৭ মাসে। আর তার আগের অর্থাৎ ১ম ৫ হাজারের মৃত্যু হয়েছিল ৬ মাসে।

আরএইচ/জেএস