বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য খাদ্য সুরক্ষার মানদণ্ড এবং কারিগরি সুবিধার দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, ভারতের বিশাল ভোক্তা বাজার বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন খাদ্যজাত পণ্য রফতানির জন্য বিশাল সুযোগ সরবরাহ করে। এ জন্য দুই দেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন জরুরি।

বুধবার (৭ জুলাই) কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ), বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে ভার্চুয়াল ক্রেতা-বিক্রেতা সভার জন্য একটি ই-ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। এরপর ভার্চুয়াল বাণিজ্য মেলা বি টু বি সভা এবং রফতানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এতে উভয় দেশের ২০০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এছাড়া সভায় কৃষিখাদ্য খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মের জন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংস্থা ও মূল অংশীদারদের একত্রিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে, উভয় সরকারের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল, সুতারকান্দি, বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। উভয় দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে নির্বিঘ্ন পরিচালনা, যাত্রীদের সুবিধা এবং সময়মত পণ্য ছাড়করণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মতলুব আহমদ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহন যোগাযোগ উভয় পক্ষের জাতীয় আয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পিইডিএর সভাপতি ড. এম. অঙ্গমুথু, বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সলিমুল হক ঈসা, বাণিজ্য প্রতিনিধি ডা. প্রম্যেশ বাসাল, এপিইডিএর পরিচালক ড. তরুণ বাজাজ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এনআই/এসকেডি