ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ফাইজারের টিকা কেন্দ্রে প্রবাসীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।সোমবার (১২ জুলাই) সকাল থেকেই প্রবাসীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল অনুযায়ী টিকা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। লাইন হাসপাতালের টিকার বুথ থেকে শহীদ মিনার গেট ছাড়িয়ে গেছে। এই কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রবাসীরা টিকা নিতে এসেছেন।

টিকা নিতে আসা সজীব মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কুয়েত যাবো। সাড়ে তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে টিকা নিতে পেরেছি।

কথা হয় ফরিদপুর থেকে টিকা নিতে আসা মো. মানিক মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোরে এসে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। ৪ ঘণ্টা পর টিকা পেলাম। টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে একটু ভয় লেগেছিল। কিন্তু টিকা নিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল।

ঢামেক হাসপাতালের টিকা বুথের দায়িত্বে থাকা এপিসি আব্দুস সালাম জানান, এখানে অনেক প্রবাসী টিকা নিতে এসেছেন। মানুষ বেশি হওয়ায় আনসার বাহিনী হ্যান্ড মাইক দিয়ে তাদের সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স জানান, এখানে তিনটি টেবিলে একসঙ্গে ৬ জন করে টিকা নিতে পারছেন। টিকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য একসঙ্গে বেশি মানুষ প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঢামেক হাসপাতালের টিকা বুথের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক উম্মে কুলসুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে। এরপরও যদি আজকের তারিখের কেউ থাকেন, তাকে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে। এই কেন্দ্র থেকে আজ ৮শ জন টিকা পাবেন। শুধু প্রবাসীদের নয়, আগে যারা নিবন্ধন করেছিলেন তাদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।

যাদের আজ টিকার নেওয়ার তারিখ না, তাদের দিচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এমন অনেককেই পেয়েছি, যারা নিবন্ধন করেছেন কিন্তু আজ তাদের টিকা নেওয়ার তারিখ না। আমরা তাদের মেসেজ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কিন্তু যে তারিখে মেসেজ আসবে ওই তারিখেই টিকা নিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের আগে টিকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এসএএ/এমএইচএস