স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে বসবে পশুর হাট
স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বসবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পশু বিক্রির জন্য সব ব্যবস্থা করেছি। একইসঙ্গে অনলাইনের পাশাপাশি সশরীরে পশুর হাট যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করার জন্য টিভিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কীভাবে হাটে এসে পশু ক্রয় করতে হবে সেগুলোর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘গতবছর করোনা মহাসঙ্কটেও পশুর হাট বসেছিল। এ বছর করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও কিন্তু পশুর হাটে ক্রয়-বিক্রয় হবে। কোরবানি যতটা সম্ভব নির্বিঘ্নে করা যায় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কীভাবে পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে তার গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কীভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে সে বিষয়েও বলা হয়েছে।’
অনলাইনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সশরীরে পশুর হাট বসানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। যদি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যান তাদের গ্রামের সব দায়িত্ব পালন করেন তাহলে কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এ বিষয়ে সব নির্দেশনা দেওয়া হবে। তারা যদি সেগুলো নিয়ে কাজ করে তাহলে আশা করা যায় সুন্দরভাবে কোরবানি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররাও গরুর হাটগুলোতে তদারকি করবেন।’
এসএইচআর/জেডএস