ঈদুল আজহার দিন যতই এগিয়ে আসছে, রাজধানীর গরুর হাটগুলোতে পশুর উপস্থিত ততই বাড়ছে। ছোট-বড়, মাঝারিসহ নানান আকার ও রংয়ের গরুতে ভর্তি হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী আফতাব নগরের গরুর হাট। হাটটিতে দেশি গরু সর্বনিন্ম ৪০ হাজার টাকা থেকে ১৩ লাখ টাকা দামের গরু বিক্রির অপেক্ষায়। তবে ক্রেতার দেখা এখনও তেমন মিলছে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) হাটটির মাঝামাঝি অংশের বটতলার মোড়ে ৯টি গরু এনেছেন নাটোর থেকে নিজাম উদ্দিন। মধ্যবয়সী এই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে হাটে গরু এনেছেন। দুপুরে তার গরুগুলো পরিচর্যা করছিলেন। মেরুল বাড্ডা থেকে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশে খুঁটিতে বাঁধা তার একটি বড় সাইজের গরু নজর কেড়েছে। 

জানতে চাইলে ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো রকম ইনজেকশন কিংবা মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ছাড়াই ষাঁড়টি বড় করেছি। এটিসহ মোট ৯টি গরু এনেছি। আমার স্ত্রী গরুটির নাম রেখেছে ‘রাজা বাবু’। 

তিনি বলেন, বিক্রির জন্য বাজারে এনেছি রাজা বাবুকে। তবে খুব মায়া লাগছে।

নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার এই গরুটি নাটোরের রাজা, ওজন এক টনের বেশি (সাড়ে ২৭ মণ)। 

দাম কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাড়ে ৮ লাখ টাকা। এই গরু পালতে দিনে হাজার টাকা খরচ করেছি।

হাটে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠে খুঁটিতে সারিবদ্ধভাবে বাঁধা রয়েছে লাল, সাদা, লাল-কালোসহ নানা ধরনের গরু। মাঠের পাশাপাশি এই এলাকার বাসা-বাড়ির রাস্তাগুলোও গরুর দখলে। 

হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার অন্তত দেড়শ গরু এসেছে। আগামীকাল আরও অনেক গরু আসবে। গরু এলে ক্রেতাও আসবে।

ইজারাদা ওমর শরীফ দিপু ঢাকা পোস্ট বলেন, শুক্রবার থেকে আশা করছি গরু বিক্রি শুরু হবে। এবার ১৩টি হাসিল বসিয়েছি। হাসিলের পাশাপাশি হাটে ২০-২৫ জন পশু ডাক্তার রেখেছি। গরু ব্যবসায়ীদের যখন যা প্রয়োজন আমাদের বললেই পাচ্ছেন।

পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর এলাকার পাশাপাশি ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ এলাকার গরু আসছে হাটটিতে।

এমআই/এইচকে