ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ২০ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ২০ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা ও ১১ জন শিশু। এর মধ্যে মেয়ে শিশু সাতজন ও ছেলে শিশু চারজন। 

তিনি বলেন, গ্রেফতার রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলার রিজার্ভ করে মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক জোন এলাকায় এসে নামেন। সেখান থেকে তাদের টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা ছিল। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তারা কার সহযোগিতায় ভাসানচর থেকে পালিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন ফারুকী।

ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালাতে কারা সাহায্য করেছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দালালরা বিভিন্ন জায়গার। গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গারা তাদের নাম বলতে পারছের না। তবে আমরা ধারণা করছি নোয়াখালী, কক্সবাজার ও টেকনাফের দালালদের যোগসাজশে তারা ভাসানচর থেকে পালিয়েছেন। এর পেছনে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। 

এর আগে ১১ জুলাই জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ অর্থনৈতিক জোন থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল। আর ২২ জুন ভাসানচর থেকে পালানোর সময় জোরারগঞ্জের অর্থনৈতিক জোন থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া ৩০ মে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় জোরারগঞ্জের অর্থনৈতিক জোন থেকে শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা ও ৩ দালালকে আটক করেছিল জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।

কেএম/ওএফ