ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন আজ। অন্যদিকে কাল থেকে আবারও শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। তাই ঈদে যারা ঢাকা ছেড়েছিলেন, সকাল থেকেই তারা রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে। কেননা রাতের মধ্যে ঢাকায় প্রবেশ না করলে, পরে বিধিনিষেধে আর সুযোগ থাকছে না।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরের পর আমিন বাজার সেতুতে দেখা যায়, কিছু সময় পর পর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাস রাজধানীতে বেশ করছে। প্রতিটি বাসই যাত্রী বোঝাই করে আসছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসছে। বিকেল পর্যন্ত তেমন একটার যানবাহনের ততোটা চাপ দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ শুরু হতে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত এ পথের নিয়ন্ত্রক দারুস সালাম ট্রাফিক জোনের কর্মকর্তারা।

রাজধানীর একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম রাজশাহী থেকে ফিরেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে পরশুদিন বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যদের রেখে এসেছি। আমার অফিস কাল থেকে খোলা। আগামীকাল থেকে লকডাউন। তাই আজ চলে এলাম।  

উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি বাসের যাত্রী সাজেদুল শোভন বলেন, ঈদে বাড়ি যাবো বলে মা প্রতীক্ষায় ছিলেন। তাই শত কষ্ট হলেও পরশু গিয়েছিলাম, আর আজ ফিরলাম। সারা বছর তো সময় দিতে পারি না। তারা যতদিন জীবিত আছেন, অন্তত সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর।

দারুসসালাম সালাম ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকায় ফেরার আজই শেষ সুযোগ। অনেকে পথে আছেন, আসছেন। এখন গাবতলী এলাকা কিছুটা স্বাভাবিক। সন্ধ্যায় বা রাতে কিছুটা হলেও চাপ হতে পারে। কিন্তু আমরা সেই চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত এবং সতর্ক রয়েছি।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। দুপুরে গণমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এ বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

এমএইচএন/আরএইচ