করোনায় আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ফকির আলমগীরের ভাতিজা মাহবুবুর রহমান ফকির ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিশিষ্টজনরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আলাদা আলাদা বিবৃতিতে শোক বার্তা দিয়েছেন।

শোক বিবৃতিগুলোতে জানানো হয়, ষাটের দশক থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ফকির আলমগীর মেহনতি জনতার পক্ষে দেশপ্রেমের গান গেয়েছেন। তার দরাজ কণ্ঠের রক্তে স্রোত জাগানো সঙ্গীত সব সময় মুক্তিকামী ছাত্রজনতাকে উজ্জীবিত করেছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগত এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

বিবৃতিতে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। শোকাহত পরিবারের সদস্য ও ফকির আলমগীরের অগণিত ভক্তের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক জানিয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ জুলাই থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ১৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

উল্লেখ্য, ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

এসআর/এমএইচএন/এসএইচআর/পিএসডি/এনএম/ওএফ