ঢাকার ১৭টি স্থানকে ডেঙ্গুর হটস্পট বিবেচনা করে আগামীকাল (সোমবার) থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ ছিটানোর জন্য দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে ডেঙ্গু ইস্যু নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। 

দুই মেয়রকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, ক্যান্টনমেন্ট, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, পল্টন, খিলগাঁও, মিরপুর, বসুন্ধরা, মুগদা, বাসাবো, সবুজবাগ, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর - এ এলাকাগুলোকে হটস্পট হিসেবে বিবেচনা করে আগামীকাল (সোমবার) থেকে তাৎক্ষণিক মশা নিধনের ওষুধ দেবেন।

বৈঠকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিটি করপোরেশন একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে। সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশন মন্ত্রণালয়কে তথ্য দেবে।

‘আমরা আগে একটি সেল গঠন করেছিলাম। এবারও একটি সেল গঠন করে দেওয়া হলো। মশক নিধনের ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে সার্বিক তদারকির জন্য এ সেল গঠন করা হলো।’

সিটি করপোরেশনের লোকবলের যদি সমস্যা থাকে, নিয়োগের বিষয়ও বিবেচনা হবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আপনারা বলুন, আমরা সেটি দেখব। যদি আউটসোর্সিং করতে হয়, দরকার হলে সেটার ব্যবস্থা করা যায়।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সিটি করপোরেশনের যদি অর্থ প্রয়োজন হয়, তা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মশক নিধনের ওষুধের মজুদ আছে। এবার কোয়ালিটি নিয়ে কোনো কথা আসেনি।’

যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবেন, সেসব হাসপাতাল থেকে নাম-পরিচয় সরবরাহ করার জন্য বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তাদের নাম-পরিচয় অনুযায়ী বাসা বা আশপাশে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর জন্য সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

এসএইচআর/এসএসএইচ