ঘনবসতির শহর রাজধানী ঢাকা // ছবি: ফেসবুক ওয়াল থেকে

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানান পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)। এরমধ্যে ঢাকার ১৭টি এলাকাকে ডেঙ্গুর হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।

হটস্পট হিসেবে বিবেচনা করা ১৭টি স্পটের মধ্যে রয়েছে- রামপুরা, মহাখালী, মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, ক্যান্টনমেন্ট, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, পল্টন, খিলগাঁও, মিরপুর, বসুন্ধরা, মুগদা, বাসাবো, সবুজবাগ, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার এই ১৭ স্থানকে ডেঙ্গুর হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে ডেঙ্গু ইস্যু নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে ঢাকার ১৭ এলাকাকে হটস্পট বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ ছিটানোর জন্য দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এদিকে দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ২৫ জুলাই দেশে ১০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়। 

সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ২৬ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন ১২৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১২০ জন এবং ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি রােগী ৩ জন। সবমিলিয়ে বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বমােট ভর্তি রােগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৮ জনে। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রােগী ৪৬০ জন এবং অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমােট ভর্তি রােগীর সংখ্যা ৮ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত (২৬ জুলাই) সারাদেশে সর্বমােট ভর্তি হওয়া রােগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০২ জনে। তাদের মধ্যে এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে সর্বমােট ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৩১ জন।

এএসএস/এসএম