রাজধানীতে বাড়ছে মানুষের সমাগম
জীবন-জীবিকার তাগিদে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করছেন। যে কারণে রাজধানীতে বাড়ছে মানুষের সমাগম। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশা, মোটরসাইকেলে আসতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের, সঙ্গে রয়েছে ভোগান্তি।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াবাজার, তাঁতীবাজার ও বাবুবাজার ব্রিজের আশপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে মানুষের সমাগম বেড়েছে। বিভিন্ন উপায়ে মানুষজন রাজধানীতে প্রবেশ করছেন। কর্মস্থলে ফেরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি রয়েছেন নিম্নআয়ের মানুষও। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও পিকআপে করে ফিরছেন।
বিজ্ঞাপন
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে প্রতিদিন নয়াবাজার থেকে নাখালপাড়ায় কর্মস্থলে যেতে হয়। গণপরিবহন না থাকায় প্রতিদিন আসা-যাওয়া রিকশায় করতে হয়। এভাবে আসা-যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সরকার কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করলেও মানুষ কিন্তু কর্মস্থলে যাচ্ছেন। মানুষকে তো আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। প্রথম দু'একদিন কম বের হলেও এরপর থেকে মানুষের রাস্তায় চলাচল অনেক বেড়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু গণপরিবহন চালু রাখা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত লোকজনের অর্থ এবং ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
কথা হয় সদরঘাট এলাকায় চায়ের দোকানদার আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম কয়েক দিন ভেবেছি লকডাউন কঠোর হবে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। দোকানপাট বন্ধ রাখলে হয়তো না খেয়ে থাকতে হবে। গত দু'একদিন থেকে দেখছি লোকজন ঠিকই বের হচ্ছে। সেজন্য গতকাল থেকে দোকান খুলছি।
আব্দুর রহিম আরও বলেন, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও মানুষজন রাস্তায় চলাফেরা করছে। শুধু গণপরিবহন বা সরকারি কিছু অফিস-আদালত বন্ধ আছে। আর সবই মোটামুটি চলছে।
টিএইচ/জেডএস