লকডাউনে বের হওয়ায় গ্রেফতার ৫৫৫, জরিমানা সাড়ে ১৬ লাখ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের পঞ্চম দিনে কঠোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ৫৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময়ে ২৩৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, বিধিনিষেধ নিয়ম অমান্য করায় রাজধানীতে ৫৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৩৬ জনকে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৪৯৭টি গাড়িকে ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করায় ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপি। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৪১টি গাড়িকে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানী থেকে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৩৭ জনকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৪৪১টি গাড়িকে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তৃতীয় দিনে নিয়ম অমান্যে রাজধানী থেকে ৫৮৭ জনকে গ্রেফতার, ২৩৩ জনকে এক লাখ ৯৫০ টাকা জরিমানা এবং ৫২১টি গাড়িকে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চতুর্থ দিনে সোমবার লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে ডিএমপি গ্রেফতার করে ৫৬৬ জনকে। এ সময় বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৬৪ জনকে এক লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা ও ৪৪৩টি গাড়িকে ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে ট্রাফিক বিভাগ।
উল্লেখ্য যে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ২২ জুলাই সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, সরকারি বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বসে সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা ও প্রতিরোধক টিকা কার্যক্রম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত এমন এসেছে- আমাদের যে লকডাউন চলছে তা ৫ তারিখ পর্যন্ত চলতে থাকবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা এবং অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট বোধ হয় গ্রহণ করতে পারছি না। লকডাউন ৫ তারিখ পর্যন্তই চলবে। আমরা আশা করছি অন্যান্য দেশের মতো সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমবে আসবে।
জেইউ/ওএফ