করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর ১১ আগস্ট থেকে অফিস খুলে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় জানানো হয়েছে- একই দিন থেকে খুলে দেওয়া হবে দোকানপাট, গণপরিবহন ও অফিস আদালত।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বুধবার (৪ আগস্ট) সার্কুলার চলে যাবে- তারপরও বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয়, সেটা করা হবে। আজ যে সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটি সাময়িক। আমরা দেখতে চাই, সেটার সুফল কতটুকু কার্যকর হয়। এটা চলমান প্রক্রিয়া।

এদিকে সবকিছু খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসলেও এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা টিকা নিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই ঘর থেকে হতে পারবেন। টিকা নেওয়ায় ব্যতীত কেউ মুভমেন্ট করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টি কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে পুলিশকেও ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে করে কিছু জরিমানা করতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাদেশ লাগবে, আমরা হয়তো সেদিকেই যাবো।

স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য সভায় জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ৭ দিনের জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মোট ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। বিধিনিষেধ চলমান অবস্থায় মঙ্গলবার তা আরও বাড়ানো হলো।

এসএইসআর/এইচকে/এমএইচএস