দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গু পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি ঘটছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরও আশঙ্কা জানিয়েছে যে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই অবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকেই আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা জানান অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসের গত তিন দিনে আমরা ৭৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করেছি। কাজেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, জুলাই মাসের চেয়ে আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি বেড়ে যাওয়ার একটি প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকাল এলে আমরা দেখি যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপ নেয়। গত ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি যে একটি ডেঙ্গু মহামারি আমাদেরকে কীভাবে আক্রান্ত করেছিল। ২০২১ সালে এসেও একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। তবে আমরা মনে করি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেটি মোকাবিলা করতে পারব।

অধিদফতরের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা মনে করি ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রত্যেকেরই করণীয় আছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাসগৃহে ফুলের টবসহ বাসার ভেতরে বাইরে জমে থাকা যেসব পানি আছে, সেগুলো অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে হবে। তিন দিনের বেশি সময় বাসার বাইরে যদি কেউ অবস্থান করে তাহলে বাথরুমের কমোড, প্যান ইত্যাদি ঢেকে রাখতে হবে। পানির পাত্র পরিষ্কার করে উল্টে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদেরকে দিনে রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ছোট বড় সবাইকেই শরীর ঢেকে রাখে এমন কাপড় পরিধান করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

জ্বর আসলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কারো শরীরে জ্বর আসলেই কেবল করোনা মনে করতে হবে তা নয়। এর পাশাপাশি কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের যে পরীক্ষাটি আছে, এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষাটি করতে হবে। এই পরীক্ষাটি সহজেই করা যায়। সরকারি-বেসরকারি সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা পয়সায় পরীক্ষা করা হচ্ছে, এই পরীক্ষাগুলো করে ফেলতে হবে।

টিআই/জেডএস