‘ম্যানুয়েল সোর্স নিয়োগ করে বস্তি মাদকমুক্ত করতে হবে’
প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি ম্যানুয়েল সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে ঢাকার বস্তিগুলোকে মাদকমুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। মাদক শুধু উদ্ধার করলে হবে না, এর রুট পর্যন্ত যেতে হবে। প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি ম্যানুয়েল সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে বস্তিগুলো মাদকমুক্ত করতে হবে। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবা, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন সুপথে ফিরে আসতে পারে সেজন্য কাজ করতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের হুঁশিয়ার করে সভায় কমিশনার বলেন, মাদকসেবীদের কোনো জায়গা পুলিশ বাহিনীতে হবে না। পাশাপাশি জনগণকে শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়, যা সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সভায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের জন্য পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়।
এসময় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে সফল বিভাগের পুরস্কার পেয়েছে মিরপুর বিভাগ। পুরস্কৃত করা হয়েছে ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার এমএম মঈনুল ইসলামকে।
অফিসার ইনচার্জদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর, পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. শরীফুল ইসলাম ও কোতয়ালী থানার এসআই পাভেল মিয়া। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ারী থানার এএসআই মো. নুর ইসলাম ও মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মো. গোলাম সাকলায়েন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি গুলশান।
চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ।
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মো. গোলাম সাকলায়েন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি গুলশান। অজ্ঞান/মলমপার্টি গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার তরিকুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ধানমন্ডি জোনাল টিম, ডিবি-রমনা।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী আমিনুল ইসলাম, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মো. রোকনুজ্জামান শাহবাগ ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট আব্দুল কাদের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।
এছাড়াও ভালকাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৫৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। বিশেষ ক্যাটাগরিতে প্রসিকিউশন বিভাগ, আইএডি বিভাগ, উপ-পুলিশ কমিশনার, (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগ) ও উপ-পুলিশ কমিশনারদের (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্তে ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এআর/জেডএস