সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সাক্ষাৎকাল

দেশের বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে তুরস্ক আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদিত হয়। এ পাট থেকে এখন উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় জানিয়ে পাটমন্ত্রী বলেন, এ রপ্তানির দেশের তালিকায় অন্যতম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে বহুমুখী পাটজাত পণ্য তুরস্কে রপ্তানি করতে চায়।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। সেজন্য তুরস্ক বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।

সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দু'দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশ্ববাজারের চাহিদা বিবেচনা করে সরকার ২৮২ পাটপণ্য বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাট আইন অনুসারে, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকবে এমন পণ্যে ‘বহুমুখী পাটজাত পণ্য’ বলে বিবেচিত হবে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাটখাত উন্নয়ন, সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের এসব কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সরকার পাটশিল্পের উন্নয়নে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০,’ ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে।

এছাড়াও বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করছে মন্ত্রণালয়। 

এসএইচআর/এসএম