বিধিনিষেধ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাজধানীর প্রধান সড়কের একটি অংশ রিকশার দখলে। অন্য অংশে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা কয়েকজনে মিলে ভ্যান ভাড়া করে ছুটছেন গন্তব্যে। হেঁটেও গন্তব্যে ছুটছেন অনেক মানুষ।

সড়কে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেওয়া তথ্য মতে, ঘর থেকে বের হওয়া বেশিরভাগ মানুষের হাতেই হাসপাতাল সংক্রান্ত কাগজপত্র। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারা সবাই হাসপাতালে ছুটছেন বলে জানাচ্ছেন। এরমধ্যে আজ থেকে শুরু হয়েছে গণ টিকাদান কার্যক্রম। বেশিরভাগই বলছেন তারা টিকা দিতে যাচ্ছেন। ফলে আরও মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে।

করোনা ঠেকাতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে। আর এই দিন যত ঘনিয়ে আসছে সড়কে মানুষের উপস্থিতি যেন ততই বাড়ছে। চেকপোস্টগুলোতেও নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতা।

শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার, জিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়, লালমাটিয়া বাসস্ট্যান্ড এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ চলাচল করছে। প্রতিটি রিকশায় দুই জন চড়লেও মাঝে মধ্যে তিন জনও দেখা যাচ্ছে। বিধিনিষেধে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন নিষেধ থাকলে তা মানা হচ্ছে না।

অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়িতেও অনেক মানুষ যাতায়াত করছে। যাদের সামর্থ্য নেই তারা হেঁটেই ছুটছেন গন্তব্যে। যাদের অনেকের গন্তব্য, রাজধানীর এক মাথা থেকে অন্য মাথা।

আসাদগেটের ফুটপাত দিয়ে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে চলছিলেন আনোয়ারুল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত রাতে রংপুর থেকে রওনা হয়ে আজ ঢাকায় এসেছি। বাস আমিনবাজার নামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যেতে হবে সাইনবোর্ড। ওই পর্যন্ত রিকশাগুলো ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া চায়। এত টাকা ভাড়া দিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই হেঁটেই রাজধানী পার হচ্ছি।

পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে আগের মতো তেমন কোনো কঠোরতা দেখা যায়নি। ফলে অনায়াসেই পার হচ্ছে সব ধরনের যানবাহন। আগের মত চেকিং কেনো হচ্ছে না জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করছি। বেশিরভাগ মানুষই টিকা নিতে বা জরুরি কাজে বের হচ্ছেন। যানবাহন না থাকায় হসপিটালের সঙ্গে জড়িতরা ব্যক্তিগত গাড়িতে বা রিকশায় আসছেন। তাদের তো ঠেকানো সম্ভব না। আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করছি।

এমএইচএন/এমএইচএস