সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা কাউকে মাস্ক ছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার (১৪ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতনরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্মৃতি জাদুঘর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় শোক দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সবাইকে সেলফি তুলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করাতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য অভিশপ্ত মাস। এ মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ২১ আগস্টের বোমা হামলা ও ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। তাই এ মাস এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকে, যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা দ্বিতীয়বার এ ঘটনা না ঘটাতে পারে।

তিনি বলেন, শোক দিবসের কর্মসূচি ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় প্রতিবারের মতোই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যারা অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন তাদের হেঁটে আসতে হবে। এখানে প্রবেশের আগেই প্রতিটি চেকপোস্টে প্রত্যেককে ফিজিক্যালি ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে।

মোহা. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ এ ভেন্যুতে থাকবেন, ততক্ষণ পুরো ভেন্যুটি জনশূন্য থাকবে। শুধুমাত্র তার নিরাপত্তার দায়িত্বে সংশ্লিষ্টরা অবস্থান করবেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর ভেন্যু ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এবং পর্যায়ক্রমে সর্বসাধারণের পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমানে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পুরো জাতি প্রায় তছনছ। তারপরও এখানে কেউ আসবেন না বলতে পারি না, কারণ এটি বাঙালির আবেগের জায়গা। যারা আসবেন সুশৃঙ্খলভাবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসবেন। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন থাকব। তাই যদি মনে করেন একটু ভিড় কমলে আপনি আসবেন, তখনও আসতে পারেন।

তিনি বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেব না। এখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু প্রচুর মানুষ লাইন ধরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন। তাই সবাইকে অনুরোধ করব সেলফি তুলে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভেন্যু ত্যাগ করবেন। এতে অন্য একজনকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

এমএসি/এসএসএইচ