এয়ার এশিয়া

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বহন করে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনায় এয়ার এশিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তাদের এ জরিমানা করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল।

ম্যাজিস্ট্রেট জামিল জানান, শনিবার মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর থেকে ৯৮ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটি ঢাকা এসে পৌঁছায়। যাত্রীরা সবাই কোভিড টেস্ট করিয়ে সনদ নিয়েই ফ্লাইটে উঠেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে একজন যাত্রী কোভিড পজিটিভ ছিলেন। তার হাতে থাকা সার্টিফিকেটেই সুস্পষ্টভাবে তাকে কোভিড পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অথচ কুয়ালালামপুরে এ যাত্রীকে বোর্ডিং করানোর সময় কেউ বিষয়টি খেয়াল করেননি।

ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, এয়ার এশিয়ার এমন খামখেয়ালির কারণে কোভিড পজিটিভ এ যাত্রী সাড়ে তিন ঘণ্টা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে আকাশযাত্রা করে ঢাকা এসে পৌঁছান। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্দেশনা অমান্য, যাত্রীদের হয়রানির ও গাফলতির কারণে এয়ার এশিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ওই যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ৬ যাত্রী বহন করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

১০ জানুয়ারি একই কারণে মালদিভিয়ান এয়ারলাইনসকে দুই লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করায় সম্প্রতি ৯টি এয়ারলাইনসকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সালাম এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজ, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, এমিরেটস, এয়ার এশিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া, গালফ এয়ার ও টার্কিশ এয়ারলাইনস।

গত ৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ঘোষণা করে, ৫ ডিসেম্বর (শনিবার) থেকে যারাই বাংলাদেশে আসতে চাইবে, তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময় থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং অবতরণ করা প্রতিটি এয়ারলানসকেই বেবিচক নির্দেশনা দিয়েছে, কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া যেন কোনো যাত্রীকে বোর্ডিং পাস না দেওয়া হয়।

সম্প্রতি করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গত নভেম্বরে ৪ হাজারেরও বেশি যাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে এসেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দেশে আসা যাত্রীদের করোনা সনদ থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।

এআর/এসএম