পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দি ফিল্ড অফ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)। জাতিসংঘের প্রথম কোনো অঙ্গসংস্থা হিসেবে ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ২-১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫৮ সদস্য বিশিষ্ট ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের ২১০তম অধিবেশনের প্রথম পর্বে এ প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য উত্থাপন করে ইউনেস্কো সচিবালয়।

গত শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সমাপ্ত ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রতি দুই বছর অন্তর এ পুরস্কার প্রদান করা হবে যার অর্থমান ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ পুরস্কারটি প্রথমবারের মতো ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ইউনেস্কো’র ৪১তম সাধারণ সভা চলাকালে প্রদান করা হবে।

মোমেন বলেন, ‘সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্যারিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে ইউনেস্কো মহাপরিচালক বরাবর আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব প্রেরণ করি আমরা।’

ইউনেস্কো শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রভৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে থাকে। বর্তমানে  ইউনেস্কো অধিক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি তথা প্রতিষ্ঠানের নামে ২৩টি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার চালু রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সংস্কৃতির প্রতি মমত্ববোধ, মাতৃভাষার প্রতি আবেগ সর্বোপরি তার জীবনাদর্শ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে তার নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তনের কথা আমরা চিন্তা করি। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জাতিসংঘের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো।’

‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শনের আন্তর্জাতিকীকরণ ও তা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হবে বলে আমরা মনে করেছি’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত বছর ইউনেস্কো-এর ৪০তম সাধারণ সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ইউনেস্কো শতবার্ষিকী কর্মসূচি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

এনআই/এফআর