মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
২০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি ও গুলশান বনানীর ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে তিনি জানান, সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারি এবং একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরও ১৫০ কাঠা জমি দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ আছে, খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরি করে নামে-বেনামে বরাদ্দ নিয়ে ২০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে গুলশান-বনানীর ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগেও ২০১৫ সালের ৩ মার্চ মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলা বর্তমানে বিচারকাজ চলমান আছে।
বিজ্ঞাপন
যেখানে অভিযোগ রয়েছে, ২০০৬ সালে ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠনকে নামমাত্র মূল্যে মিরপুরে সাত একর জমি বরাদ্দ দেয়। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ওই জমি বরাদ্দ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতি করে।
মির্জা আব্বাসসহ অন্য বাকি চার আসামি হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বিজন কান্তি সরকার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কোষাধ্যক্ষ মনছুর আলম ও হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান।
আরএম/এমএইচএস/জেএস