টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে থাকছে ‘ইমার্জেন্সি কিট’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম
করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের ফলে কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে টিকা গ্রহণকারীর চিকিৎসায় ইমার্জেন্সি জীবন রক্ষাকারী কিট থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেকের মুখে আশঙ্কার কথা শুনেছি। যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কোভিড টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তার চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট টিকা কেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। ইমার্জেন্সি জীবন রক্ষাকারী কিটসহ আমরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, টিকা গ্রহণকারী প্রত্যেককে টিকা নেওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হবে। তাকে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষেই বাসায় পাঠানো হবে।
বিজ্ঞাপন
ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের শিক্ষা ও গবেষণা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এএইচএম শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. সারোয়ার ইবনে সালাম রোমেল।
ওয়েবিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া, ইউনিসেফের টিকা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাইজেরিয়া প্রধান ডা. আনিছ সিদ্দিকী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব প্রমুখ।
টিআই/ওএফ