করেনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এসে আটকেপড়া শিক্ষার্থীসহ দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলের বাংলাদেশ দূতাবাস। 

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিওলের বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস থেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস, সিওলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ অবস্থার বিবরণসহ আবেদনের অনুরোধ করা হয়েছে।
 
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত যেসব শিক্ষার্থীর দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাবর্ষ না হওয়ার অনিশ্চয়তা, বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ যারা বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সেসব শিক্ষার্থীদের ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস, সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অবস্থার বিবরণসহ আবেদন জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিছু শিক্ষার্থী দেশে ফিরে আসেন। এর আগে ছুটিতে আসা শিক্ষার্থীরাও দেশে আটকা পড়ে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়েও যেতে পারছেন না ১৫২ শিক্ষার্থী। ১৩৩ জন ছাত্র ও বাকিরা ছাত্রী। এদের মধ্যে স্নাতক থেকে শুরু করে পিএইচডির শিক্ষার্থীও রয়েছেন। নয় মাসের মত সময় পেরিয়ে গেলেও তারা সেখানে যেতে পারছেন না। 

জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর এসব বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের চিঠি প্রদানের কয়েকদিন পর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের প্রবেশ শুরু করাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্ঠা অনেক আগ থেকে চালানো হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

এনআই/ওএফ