৪৫ যাত্রীবাহী একটি নৌযান পদ্মা নদীতে বিকল হয়ে ভাসছিল। এক ঘণ্টা ধরে ভাসার পর দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রীদের একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ - এ কল করেন। পরে নৌ-পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। 

শনিবার রাতে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে মাঝপদ্মায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার এক বার্তায় বিষয়টি জানায় জরুরি সেবার মিডিয়া বিভাগ।
 
বার্তায় বলা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় পিকনিকের ৪৫ যাত্রী নিয়ে প্রমত্ত পদ্মায় বিকল হয়ে পড়ে একটি নৌযান। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও ছিল। বিপদগ্রস্ত এক যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করলে তা জানতে পারে নৌ-পুলিশের পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ফাঁড়ির টহল দল। তাৎক্ষণিক নৌ-পুলিশের তৎপরতায় বিকল নৌযানসহ যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। 

শনিবার দুপুর ১২টায় ১৫ শিশুসহ ৪৫ জন পিকনিকের যাত্রী একটি নৌযান (বাল্কহেড) নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর গড়গড়িয়া শাহপুর থেকে রাজশাহীর বাঘা মসজিদ ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পরিদর্শন জন্য রওনা দেন। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পরিদর্শন শেষে রাত সাড়ে ৯টায় তারা বাঘার উদ্দেশে রওনা দেন। কিছুদূর চলার পর মাছ ধরার জাল পেঁচিয়ে নৌযানের প্রপেলার (পাখা) ভেঙে যায়। নদীতে তখন তীব্র স্রোত, তারা তাদের নৌযান তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

বিকল নৌযান নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক নদীতে ভাসার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌযানের যাত্রী আলিমুজ্জামান জাতীয় জরুরি সেবায় কল করে বিষয়টি জানান এবং উদ্ধারে সহায়তা চান। জাতীয় জরুরি সেবায় দায়িত্বরত কনস্টেবল লোকমান হাকিম কলটি রিসিভ করে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পাবনা জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং রাজশাহী নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলে। 

৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রিয়াদ হাসান একটি বড় নৌযান নিয়ে বিকল নৌযানসহ যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। উদ্ধারকৃত যাত্রীদের ফাঁড়িতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং খাবার ও পানীয় পরিবেশন করা হয়। রোববার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে উদ্ধারকৃতদের হস্তান্তর করা হয়।

বিকল নৌযানের এক যাত্রী সালাম হোসেন বলেন, ঘণ্টাখানেক এক জায়গায় ছিল আমাদের নৌযানটি। পরে তীব্র স্রোতে যানটি দোল খেতে লাগল। সবাই ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে শেষ ভরসা হিসেবে আমরা ৯৯৯-এ কল দিই। নৌ-পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে।

এআর/আরএইচ