এমিকনের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি
রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার এমিকনের গোডাউনে শনিবার (২১ আগস্ট) আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
রোববার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, বনানীর অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। অধিদফতরের উপপরিচালক (উন্নয়ন) নূর হাসান আহমেদকে সভাপতি ও উপসহকারী পরিচালক নিয়াজ আহমেদকে সদস্য সচিব করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হচ্ছেন- তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ারহাউজ পরিদর্শক।
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার এমিকনের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে একে এক ১৫ ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নির্বাপনে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি রাস্তা বন্ধ দেয় ফায়ার সার্ভিস। এতে রাস্তার দুই পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আগুন লাগার পর ওই দিনই (শনিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ফায়ারের ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দুই ও তিন তলায় আগুনে লাগার ঘটনা ঘটে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুনের নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। ভবনের দুই তলা ও তিন তলায় আগুন ছড়িয়েছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ৪ ঘণ্টার মতো সময় কেন লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, আগুনটি মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেক্ক্ষণ জ্বলেছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই এসেছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
প্রতিবারই আগুন লাগার পর ফায়ারের পক্ষ থেকে বলা হয় ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। তার পরে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ফায়ার সার্ভিসের দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যায় না কেন জানতে চাইলে ফায়ার ডিজি বলেছেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেইউ/এসএম