ব্রুনাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (ইউটিবি) ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ বুক কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুক কর্নারটির  উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রুনাই ও ব্রুনাই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির যৌথ আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা, ইউটিবির ভাইস চ্যান্সেলর ইয়াং মুলিয়া অধ্যাপক ড. দিয়াং হাজাহ জোহরা বিনতি হাজী সুলাইমান, কূটনৈতিক কোরের ডিন ও আটজন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশন জানায়, বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ বুক কর্নারে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের বইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্বাতন্ত্র তুলে ধরে এটি সাজানো হয়েছে।

ইউটিবির উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বুক কর্নার প্রতিষ্ঠা করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এই বুক কর্নার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হাইকমিশনার ইউটিবি কর্তৃপক্ষের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আগস্ট আমাদের জন্য শোকের মাস। আমি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ এটা বলার জন্য যে, তার আত্মত্যাগ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরির কাজ আমাকে ব্রুনাই দারুসসালামে গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা আমাদের দুঃখকে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছি এবং আমরা টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ বুক কর্নার চালু করতে পেরে সত্যিই সম্মানিত এবং গর্বিত। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে একের পর এক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যা শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ইউটিবির গ্রন্থাগারের ভেতরে বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ কর্নারের প্রতিষ্ঠা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, শিক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতার পথ সুগম করবে।

এনআই/এসকেডি