৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। 

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাশ করে মর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে; হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সকল ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে; মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে। পরিত্যক্ত সম্পত্তি রক্ষা ও লাভজনক করতে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ বা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার ও অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করতে হবে এবং জাতীয় সংসদ ভবনের নির্ধারিত সীমানা থেকে তথাকথিত মাজার বা কবর অন্যত্র প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু। মুজিব কোটের সম্মান রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্রে মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধকরণসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোর্ট পরা যাবে না এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান, বীরের সন্তান মেজর সিনহা ও এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে পরিকল্পিত খুনের বিচারসহ সমগ্র দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে ও নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বেকারত্ব দূরীকরণ কল্পে, সহজ শর্তে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা টাকা ঋণ দিতে হবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় সংসদ ভবনসহ সকল পরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এমএইচএন/এইচকে