গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন বিল বাবদ ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারকচক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলেও ব্যাংকে বা সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা না করে তারা আত্মসাৎ করেন।

গ্রেফতার দুজন হচ্ছেন- ডেসকো মনিপুরের আউট সোর্সিং সুপারভাইজার মো. মামুন (৩২) ও তিতাস গ্যাস মিরপুরের আউট সোর্সিং কর্মচারী রকিবুল ইসলাম রাকিব (৩২)।

গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি দল।

পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের ২০ মে থেকে ১২ ডিসেম্বর বিভিন্ন সময়ে আগে গ্রেফতার চক্রের প্রধান ওমর ফারুক ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স নামে এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতারসহ অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় আত্মসাৎ করেন।

এ সংক্রান্ত ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দিন (৫৭) বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশে পিবিআই ঢাকা মেট্রোতে (উত্তর) পরবর্তী তদন্তের জন্য পাঠায়।পিবিআই চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে মূল আসামিসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলায় এর আগে গ্রেফতার এজাহারনামীয় আসামি ওমর ফারুক ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার সঙ্গে ডেসকো ও তিতাসের চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত দুই কর্মচারী প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছিল বলে তার জবানবন্দিতে উঠে আসে।

পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ডেসকো মনিপুরের আউট সোর্সিং সুপারভাইজার মো. মামুন (৩২) ও তিতাস গ্যাস মিরপুরের আউট সোর্সিং কর্মচারী রকিবুল ইসলাম রাকিব। তারা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কর্মচারী না, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। তাদের কাজ হচ্ছে, গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে লাইন বিচ্ছিন্ন ও নতুন সংযোগের কাজ করা।

তারা দুজনই এজাহারনামীয় মূল আসামি ওমর ফারুকের ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স অফিসে যোগাযোগের মাধ্যমে টাকা পয়সা নিয়ে যেত এবং তাকে প্রতারণামূলক কাজে সহায়তা করত। তারা মনিপুর, আহম্মদনগর এলাকায় বিদ্যুৎ এবং গ্যাস লাইন কর্তন ও সংযোজন এর কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জেইউ/জেডএস