প্রায় দুই বছর আগে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন ময়না ও রাজমিস্ত্রি রুবেল। বিয়ের পর ঘর জামাই হয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন রুবেল। কিন্তু রুবেল পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ১৯ আগস্ট দিবাগত রাতে স্ত্রী ময়নাকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি।

এ ঘটনার পর আত্মগোপনে যায় রুবেল। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল রুবেলকে গ্রেফতার করে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, গত ১৯ আগস্ট রাত ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় জামালপুর পৌরসভাধীন নয়াপাড়ার মোকছেদ আলীর মেয়ে মোসলিমা আক্তার ওরফে ময়না (৩৮) খুন হন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্বামী রুবেল মিয়া আত্মগোপনে যান।

ঘটনার পর নিহতের মা মোছা. সুরমেলী (৬৫) মেয়ের জামাই রুবেল মিয়াকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

স্বামী হাতে নিজ গৃহে নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচার করে।

ওই ঘটনায় সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির এলআইসি শাখার একটি চৌকস টিম ঢাকার ডেমরা থানাধীন ইসলামবাগ, বাশেরপুল এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি মো. রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

মুক্তা ধর বলেন, প্রায় ২ বছর আগে নিজেদের পছন্দে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রুবেল শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থাকত। অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে রুবেলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের কথা স্ত্রী জানতে পারলে প্রায়শই তাদের ঝগড়া হত। পরে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।

জেইউ/এমএইচএস