হাসপাতাল সরস্বতী ধর

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) সাত দিন ধরে ভর্তি ষাটোর্ধ্ব নারী সরস্বতী ধরের কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছেন না স্বামী-সন্তান। এমনকি হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার রিলিজ দেওয়া হলেও বুধবার রাত পর্যন্ত কেউ তাকে নিতে আসেননি। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার সবুজবাগের বাসিন্দা সরস্বতী। আছে স্বামী ও সন্তান। বর্তমানে হাসপাতালের ১৮ নম্বর নিউরোমেডিসিন ওয়ার্ডে আছেন তিনি । 

নিউরোমেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরস্বতী ধরকে ৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ তাকে নিতে আসেননি। হাসপাতালের নিবন্ধন শাখায় থাকা নম্বরগুলোতে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া মিলছে না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার পর আর একদিনও কেউ বৃদ্ধাকে দেখতে আসেননি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা নিজেরাই করিয়েছি। রোগীর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। যে অবস্থায় আছেন, হালকা ব্যায়াম করলে শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হবে।  

হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী, গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে সরস্বতী ধরকে হাসপাতালে ভর্তি করান স্বামী রণজিত ধর। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দুটি নম্বরও দেন তিনি। একটি নিজের, আরেকটি ছেলে পবনের। 
 
স্বামী রণজিত ধরকে ফোন করা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নিজে অসুস্থ। বিছানায় পড়ে আছি। কীভাবে আনব? আমার ছেলে পবনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

এরপর সরস্বতী ধরের ছেলে পবনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

চিকিৎসকরা বলছেন, সরস্বতী ধর মাইল্ড স্ট্রোক করেছিলেন। তারপর চমেক হাসপাতালের চিকিৎসায় তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। 

কেএম/আরএইচ/জেএস