করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ও পর্যটনখাত
করোনা পরিস্থিতিতে বিমান ও পর্যটনখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মাহবুব আলী বলেন, শুধু আমাদের দেশ নয়, সারাবিশ্বই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত। তবে করোনার শুরুতেই প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশনা এবং কর্মসূচির কারণে আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভাল আছি। করোনার সময় ফ্লাইট বন্ধ ছিল, সারাবিশ্বেই ছিল। তারপরও আমরা ফ্লাইট সচল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার।
তিনি বলেন, এখনও অনেক দেশে প্লেন চলাচল বন্ধ আছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানে আরও দুটি অত্যাধুনিক প্লেন যোগ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে এভিয়েশন হাব হিসেবে উন্নীত করা। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ভাল হয়। বগুড়া বিমানবন্দর চালু করার অনুরোধ জানান এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইমামদের জন্য একটা ভাতা চালু করলে তারা উপকৃত হয়। এরশাদের শাসনামলে দেশের মসজিদগুলো থেকে কোনো বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হত না, এখন কিন্তু মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারলে মসজিদের লাইন কেটে দেওয়া হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে আমরা এগোতে পারছি না। যেটাই বলেন ভার্চুয়াল ক্লাসই বলেন, আর যে ক্লাসই বলেন, আসলে আমাদের গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এদিকে কোনোভাবেই উপকৃত হতে পারছে না। কাজেই যতদ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা নিয়ে স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।
স্পিকারের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। গ্রামগঞ্জে তারা সঠিকভাবে ক্লাস করতে পারছে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয় এ ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উচিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে দূরত্ব বজায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব।
এ সময় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার পরামর্শ দেন এই সংসদ সদস্য।
এইউএ/জেডএস