পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশে আরও ৮৯ লাখ ডোজ করোনার টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, এগুলোর মধ্যে ৭১ লাখ ডোজ ফাইজারের এবং ১৮ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, কোভ্যাক্সের নিয়মিত বরাদ্দের অংশ হিসেবে ১৮ লাখ ডোজ মডার্নার ভ্যাকসিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান দেওয়া ৭১ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন বরাদ্দ পেয়েছি। এসব ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে পাঠাবে। আমরা এই সময়ের মধ্যে আরও ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাওয়ার আশা করছি।

বর্তমানে শাহরিয়ার আলম দুই সপ্তাহের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। 

৩ কোটি ৭৩ লাখ ডোজ করোনা টিকা প্রয়োগ

এদিকে, ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দেশে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৭ ডোজ করোনা টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার ৯৭০ জন।

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭২১ জন, আর নারী ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫২ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৮৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯৫ জন আর নারী ৬৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮০ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৩১১ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭০৩ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৯ ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানিয়েছিল, ২০ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪ কোটি ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৩ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ৪ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ২৭৫ জন এবং পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৮ জন নিবন্ধন করেছেন।

এনআই/এইচকে