খাল উদ্ধার-বর্জ্য অপসারণ নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে: তাপস
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মেয়র তাপস
চলমান খাল দখলমুক্ত অভিযান এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ‘মতিঝিল পার্ক’ এর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তাপস বলেন, গত বছর যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছিল, সে সকল জায়গায় আমরা কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি এবং নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করছি। এপর্যন্ত আমরা যত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি তা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। আগামী মার্চ পর্যন্ত যেসব কার্যক্রমের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলোও নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।
জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এসব অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার মতো এবং বর্জ্য অপসারণে ২০-২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে ডিএসএসসি মেয়র বলেন, এই পুরো খরচ আমরা নিজস্ব অর্থায়ন থেকেই ব্যয় করব।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান আছে। এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। খালগুলো দীর্ঘদিন দখল অবস্থায় আছে। কিন্তু আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করার বিশাল কর্মযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে যেসব যান,যন্ত্রপাতি পাবো, সেগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে। যার কারণে কিছুটা সক্ষমতার অভাব রয়েছে। কারণ, দখলমুক্ত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে যেসব যান, যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা এখনো আমাদের কাছে নেই। পেলে কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পারব।
আগামী মার্চের মধ্যেই এ কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, খালগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে এরইমধ্যে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠিয়েছি। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি এ প্রকল্পের আওতায় খালগুলোর পাশে সাইকেল লেন, ওয়াক ওয়ে এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।
মতিঝিল পার্কের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপস বলেন, সারা ঢাকা শহরকে নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলব। শহর হবে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর-সচল ঢাকা। ২০৪১ সালের আগেই উন্নত ঢাকা উপহার দেব।
এর আগে তিনি নগরের জিরানী খালের জোর ভিটা পয়েন্ট, কদমতলী ব্রিজ ও মান্ডা ব্রিজ সংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন। নবনির্মিত যাত্রাবাড়ী ফুটওভার ব্রিজ, শাখারী বাজার ফুটওভার ব্রিজ ও নয়া বাজার ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন করেন মেয়র।
এসময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রদান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এসআরএস