দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কিংবা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের (এএজি) কথায় জামিন দেওয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই বলে জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা বলেন, ‘জামিন দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতের। জামিন দেওয়ার বিষয়ে মাননীয় বিচারকরা স্বাধীন। আদালতের বিচারকরা মামলার গুণাগুণ বিচার করে জামিন দিয়েছেন। এখানে ডিএজি বা এএজির কথায় জামিন দেওয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই।’

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও প্রোপাগান্ডা (ভুল প্রচার)। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দুদককে জানিয়েছি।’

সুপ্রিম কোর্টের এ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদকের তলবি নোটিশে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ ২৭ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।

ওই নোটিশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণপূর্বক জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও উল্লেখিত নথি-পত্রসসহ হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় গত ২৯ অক্টোবর চিঠি দেয় দুদক। যেখানে গত ৪ নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় হাজির হননি রুপা। 
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট দুদকের তলবি নোটিশের বৈধতা প্রশ্নে রিট করেন। যদিও ওই রিট খারিজ করে দেন আদালত।

গত ১৭ ডিসেম্বর যাবতীয় ব্যাংক হিসাব জানতে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৬ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছিল দুদক। চিঠিতে রুপার চলতি, সঞ্চয়ী, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়েছে। যার বেশকিছু নথিপত্র দুদকে এসেছে বলে জানা গেছে।

আরএম/এফআর