ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোতে ১৩টি খাল রয়েছে। ২৯ কি.মি. দীর্ঘ এসব খালের যে অংশ অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করা হবে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা, সাঁতারকুল, বাড্ডা এলাকায় (৩৭, ৩৮, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড) খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র।

মেয়র বলেন, এই এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে এরইমধ্যে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা। দ্বিতীয় কাজ রাস্তা চওড়া করা। সরু রাস্তাগুলো অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে। এ কাজে আমাদেরকে জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সাহায্য করছেন। আমরা রাজউককে চিঠি দিয়েছি, এ এলাকায় যেন কোনো ধরনের ভবন নির্মাণের প্ল্যান দেওয়া না হয়। আমি কাউন্সিলরদেরকে বলেছি, এ এলাকায় আর যেন অবৈধ কোনো বাড়ি না হয়।

খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সিএস, আরএস, সিটি জরিপ যে দাগে খালের জায়গা বেশি পাওয়া যাবে সে দাগ অনুসারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কারণ খাল যত বড় হবে এলাকার পানি তত সহজে বের হবে। এ এলাকার রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে কোমর পানি হয়ে যায়। আমি এরইমধ্যে এখানে যেসব ড্রেন আছে তা পরিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। প্রকল্পে ড্রেনগুলো বড় করার নির্দেশ দিয়েছি। ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে ২৯ কি.মি. খাল পুনরুদ্ধার, পুনঃখনন, পাড়বাঁধাই, সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে ও সবুজায়ন করা হবে।

পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিম, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম ঢালী, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস