বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরাতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

কানাডার স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডা আওয়ামী লীগ, কুইবেক আওয়ামী লীগ ও কানাডা যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবির সমর্থনে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত নিতে আমাদের সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কানাডা প্রবাসী বাঙালিদেরও এই খুনিকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতায় জাতির পিতার পলাতক খুনিদের বিচারকার্য সম্পন্ন হবে।

পলাতক আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে উল্লেখ করে মুরাদ হাসান বলেন, নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের পাশাপাশি জাতির পিতার মূল খুনি ও প্রধান মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানেরও মরণোত্তর বিচার কার্যকর করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত ও মুক্তিকামী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, একটি স্বকীয় জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন, একটি মানচিত্র, একটা পতাকা ও একটি পাসপোর্ট দিয়েছেন।

এ সময় জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা মূলত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। তারা দেশে ও জনগণের শত্রু। এই দেশের গণতন্ত্র এবং সকল শৃঙ্খলাকে ধ্বংস করে দিয়েছে জিয়া। এ দেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা একে একে তা বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে। সেই আস্থা রয়েছে বলেই জনতার রায়ে তিনি চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তা দেখতে পায় না।

জিয়া পরিবার বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। তারা দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সরকার তাদের পাচার করা অর্থের একটি অংশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিলাসী জীবনযাপন করাই তাদের চরিত্র।

বিদেশে অবস্থানরত কিছু লোক সরকারের সমালোচনা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ব্যস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন সময় তারা এসব করছে যখন সরকার দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে। কেউই যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে ব্যাপারে প্রবাসীদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারওয়ার হোসেনসহ কুইবেক আওয়ামী লীগ ও কানাডা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

এনআই/ওএফ