পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার
আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিকে হালদারের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত ১৩ জানুয়ারি একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এরইমধ্যে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই প্রশান্ত কুমার হালদারের নাম উঠে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নোটিশ দিয়েছিল সংস্থাটি। তার আগে ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ঠিকই দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। পরে দেশে আসার কথা বলেও আর আসেননি। গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে গ্রেপ্তার পরোয়ানি দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
পিকে হালদারের প্রতারণায় সহায়তাকারী ২৪ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আর দুদক এখন পর্যন্ত সহযোগী হিসাবে ৬২ জনকে শনাক্ত করেছে।
পিকে হালদারের ট্যাক্স আইনজীবী ও সুকুমার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের মালিক সুকুমার মৃধা এবং সুকুমার মৃধার মেয়ে ও উইন্টেল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক অনিন্দিতা মৃধা।
আরএম/জেডএস