বাইডেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশকে ভারতের টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি অভিনন্দন জানান।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জো বাইডেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তার সঙ্গে আমাদের আগেও কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই সূত্রে আমরা খুবই আনন্দিত। উনি কালকে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
বাইডেন ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশ বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আশা করছি সম্পর্ক আরও বাড়বে।
বিজ্ঞাপন
বাইডেন প্রশাসনের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সুখবর হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বাকবদলে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও নতুন করে খুলছে পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব খাতা। ক্ষ্যাপাটে বলে পরিচিতি পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যা পাওয়া গেছে ঢাকার প্রত্যাশা এবার স্বাভাবিকভাবেই তার চেয়ে বেশি কিছু। কিন্তু সরকার বদল হলেও যুক্তরাষ্ট্রের চালকের আসনে থাকাদের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন না আসার অতীত অভিজ্ঞতায় ওয়াশিংটন থেকে ঢাকা বাড়তি কী সুবিধা পেতে পারে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে আশা জাগানিয়া বিষয় হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এতে দেশটির অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু সুবিধা পাওয়ার আশা করতে পারে ঢাকা।
আশা করা হচ্ছে, বাইডেন যুগে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুব আহামরি বৃদ্ধি না পেলেও কিছুটা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে বাইডেনের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাবর্তন, অভিবাসননীতিতে নমনীয়তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা সুফল পাবে ঢাকা।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসন নতুন প্রেসিডেন্টকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ওয়েস্ট ফ্রন্টে এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রথা অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেলেন।
এনআই/এসআরএস