রফতানি না করে এলসির বিপরীতে রড তৈরির কাঁচামাল দেশের বাজারে বিক্রি ও ঋণের সাড়ে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী  মোহাম্মদ সিরাজুল হক। সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৯ সালের ৩১ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, মেসার্স শাহেদ শিপ ব্রেকিংয়ের মালিক মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া এবং এবি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া ২০১২ সালে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখা থেকে স্পেসিফিক ডিল বেসিস এলসি ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই ঋণের পক্ষে মতামত দিয়ে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন এলসি ব্যবসা থেকে ৪৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে এমন যুক্তিতে ঋণ মঞ্জুর করিয়ে নেন। ঋণের শর্ত ছিল এবি ব্যাংকের এলসির বিপরীতে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ এনে রড তৈরি করে রফতানি করবে। কিন্তু তা না করে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ আমদানি করে তা ভেঙে সরাসরি দেশের বাজারে বিক্রি দেয় আসামি শাহেদ মিয়ার প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ব্যাংক থেকে মোট ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে ।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর এলসির বিপরীতে ঋণ নিয়ে ১৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক। আসামিরা হলেন : মেসার্স ইয়াসির ইন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোজাহের হোসেন এবং এবি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও পিসিআর শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আজাদ হোসেন।

আরএম/এসকেডি