নৌ-পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, নৌ-পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের নদী কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকসের আয়োজনে ‘পদ্মা ক্রুজ’ নামে নৌ-ভ্রমণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালাতে নৌ পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের সমন্বিত উন্নয়নে যে মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন হচ্ছে সেখানেও নৌ-পর্যটনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। নৌ-পর্যটন টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। এটি আমাদের উন্নয়ন সক্ষমতার প্রতীক। এ সেতু নদীর দুই পাড়ের মানুষকে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত করবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করবে। বর্তমানে পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ এ সেতু। পদ্মা সেতু দেখতে আগতদের জন্য সেতুর পাশে পর্যটন সুবিধা প্রবর্তনের কাজ চলছে।
বিজ্ঞাপন
মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে আমাদের বেসরকারি অংশীজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। পর্যটন শিল্প ঘিরে যত বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তত বেশি আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এ শিল্পের বিকাশে আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের সহায়তা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সবসময় আন্তরিক। দেশের জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বার্থে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকবো।
পদ্মায় নৌ-ভ্রমণ আয়োজনে পদ্মা ক্রুজ নামে থাকবে দুটো ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ। মাওয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ডে ক্রুজ (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) এবং বৈকালিক ক্রুজ (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) পরিচালিত হবে। নৌ-ভ্রমণ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দুপুরের খাবার ও হালকা নাস্তা এবং সার্বক্ষণিক চা ও কফি। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্রমণসূচি ও খাবার মেন্যু পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী শামীমা জাফরিন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক হাজেরা খাতুন, লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
এআর/এসএম