চট্টগ্রামে নবজাতক ‘বিক্রি’, নানীসহ গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের একজন নবজাতকের নানী।
বুধবার নবজাতককে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১০ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন নবজাতকের মা তানিয়া বেগম।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতাররা হলেন, নবজাতকের নানী রাবেয়া খাতুন (৩২), মো. হারুন (৫৫) ও মনোয়ারা বেগম (৩৭)। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তানিয়া বেগমকে তার স্বামী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে মায়ের সঙ্গে থাকা শুরু করেন। তানিয়া গর্ভাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসার খরচ বহন করতে তার মায়ের কষ্ট হয়।
সে কারণে গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়ার দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তানিয়ার মা রাবেয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাবেয়া খাতুন আসামি মো. হারুন ও মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৫৭ হাজার টাকা নেন।
বিজ্ঞাপন
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ২ অক্টোবর জালালাবাদের একটি ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এনে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর মা তানিয়া আক্তারই নবজাতকের দেখাশোনা করতে থাকেন।
কিন্তু রাবেয়া খাতুন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তানিয়া আক্তারকে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ৫ অক্টোবর। এ সুযোগে হাসপাতাল থেকে আসামি হারুন ও মনোয়ারার হাতে নবজাতকটিকে তুলে দেন নানী রাবেয়া খাতুন।
পুলিশ কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, ৫ তারিখ বিকেলের দিকে তানিয়া চমেক হাসপাতালে এসে বেডে নবজাতককে না পেয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন রাবেয়া তার মেয়ে তানিয়াকে বলেন, নবজাতকটি হারিয়ে গেছে। পরে নবজাতকের মা তানিয়া পাঁচলাইশ থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, রাবেয়া বেগম জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নবজাতক চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে আসামি মো. হারুন ও মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। নবজাতকটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
কেএম/আরএইচ