জাল ভিসা ও জাল আমন্ত্রণপত্র নিয়ে নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকান বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। এ প্রেক্ষিতে তিনটি নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে তিন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- 

>> সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ শেষের আগেই তা বৃদ্ধির সুপারিশ করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

>> কোনো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করলে সংশ্লিষ্ট আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের (বেসরকারি) বিরুদ্ধে ভিসার বিদ্যমান পরিপত্র অনুযায়ী অর্থদণ্ড আরোপের বিষয়টি নিশ্চিতকরণ করতে হবে। 

>> অবৈধ অভিবাসের জন্য সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদেরকে বিধি মোতাবেক চলে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে, একই ইস্যুতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির সিনিয়র সচিব, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নাইজেরিয়াসহ অন্য আফ্রিকান দেশ থেকে বিদেশি নাগরিকরা জাল ভিসা ও জাল আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বাংলাদেশ এসে থাকেন। 

'বাংলাদেশে প্রবেশের পর তারা ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি না করে অবৈধ হয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং এটিএমকার্ড জালিয়াতি, মাদক ব্যবসা, জাল মুদ্রা তৈরি ও প্রতারণাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। আফ্রিকান দেশগুলো থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ইমিগ্রেশনে এলে ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসার সঠিকতা যাচাইয়ের পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাইসহ তাদের দেশে আগমনের যৌক্তিকতা যাচাই করে থাকে।' 

এতে আরও বলা হয়, যাচাইয়ে জাল ভিসা শনাক্তের পাশাপাশি দেখা যায়, যাত্রীদের ভিসা ঠিক থাকলেও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নামসর্বস্ব অর্থাৎ তাদের কোনো কার্যক্রম ও ঠিকানা সঠিক থাকে না। এ অবস্থায় কালো তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক/শিল্প প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের তালিকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।

এসএইচআর/ওএফ