ই-কমার্স প্লাটফর্মে সমন্বিত অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ই-কমার্স খাত নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। ২০টি ই-কমার্স অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও ই-ক্যাবের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির স্লোগান ‘জেনে-বুঝে-শুনে শপিং হবে অনলাইনে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্সে একটি সমন্বিত অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেবা চালুর চেষ্টা করছি। এতে এটুআই সহযোগিতা করছে। এর সঙ্গে ক্রেতা, ভোক্তা ও সরকারি এজেন্সিগুলো সম্পৃক্ত হলে সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।

তিনি বলেন, এসক্রো সেবা মূলত একটি প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকার ব্যাপারে ই-ক্যাব থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সভায় সমস্যা ও উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের ই-কমার্স খাত মানুষের সেবা দিয়ে আস্থা অর্জন করেছে বলে ক্রেতারা এই সেবা নিচ্ছে। করোনার শুরু থেকে গত দেড় বছরে ঘরে আটকে থাকা মানুষের নিরাপদ সেবা দিয়ে এ খাতকে বিকশিত করেছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তির মন্দ ব্যবসায়িক কৌশলের জন্য এই সেবাখাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। বেশিরভাগ ইতিবাচক ও আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার প্রভাব পড়তে পারে না।

তারা বলেন, ই-কমার্স কোনো প্রতারণামূলক ব্যবসা নয়। কোনো ব্যবসায় পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে সে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যায় না। অস্বাভাবিক সময় নিয়ে অযাচিত মূল্যছাড় দিয়ে কোনো দীর্ঘস্থায়ী ব্যবসায়িক ধারণা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর তাই ক্রেতাদের সঠিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে জেনে শুনে বুঝে সঠিক পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয় করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আমরা প্রকৃত ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সামনে নিয়ে আসতে চাই। মন্দ ব্যবসায়িক কৌশল প্রয়োগের পথ খোলা রাখতে চাই না। এ ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয়ে ই-ক্যাব সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে আছে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে আজকের ডিল ও বিডিজবসের সিইও ফাহিম মাশরুর বলেন, গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের জন্য সকলের বদনাম হতে পারে না। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ভালো সেবা দিচ্ছে। এ কারণে এ সেক্টর বিকশিত হচ্ছে। সেবা না পেলে ভোক্তারা এখানে আসত না। তাই যারা সঠিক সেবা দিচ্ছে তাদের বিষয়টি ক্রেতা সাধারণকে জানানো উচিত।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চালডাল এর ফাউন্ডার ও সিওও জিয়া আশরাফ, আদি এর উদ্যোক্তা ফাতেমা আক্তার, পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ, একশপ প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি, পিকাবুর সিইও মরিন তালুকদার ও যাচাই এর সিইও মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ১০ অক্টোবর দেশীয় ২০টি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরের মতো এবারও ‘টেন-টেন’ শপিং উৎসব ঘোষণা করেছে। ২০ দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিটি কোম্পানি নানা ধরনের গিফট, ডিসকাউন্ট, অফার ছাড়াও দিচ্ছে সারাদেশে ফ্রি ডেলিভারি I বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে থাকছে ১০% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। এ আয়োজনের বিস্তারিত জানা যাবে www.TenTen.com.bd ওয়েবসাইটে।

একে/এসকেডি