কুয়াশায় মোড়ানো দেশের অধিকাংশ এলাকা
কুয়াশার সঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত
কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সবখানেই শীতের দাপট চরমে পোঁছেছে। কুয়াশা আর শীতে কাঁপছে উত্তরের প্রায় সব এলাকা। মধ্যরাত থেকে যানবহনসহ মানুষও বেশ অসুবিধায় পড়ছে চলাচলে।
বছরের শুরু থেকেই প্রতিকূল এ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে সময় যাচ্ছে। কবে থেকে স্বস্তির খবর পাওয়া যাবে এ বিষয়েও তেমন নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। আগামী দুই-একদিন এ পরিস্থিতি থেকে উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত কুয়াশায় মোড়ানো থাকছে দেশের অধিকাংশ এলাকা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় শীতের অনুভূতিটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ রকম কুয়াশা ও শীত আরও দুই-তিনদিন থাকবে। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের দাপটটা বেশ রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০-এর নীচে তাপমাত্রা রয়েছে শুধুমাত্র শ্রীমঙ্গলে। ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একটি স্টেশনে ১০ এর নীচে তাপমাত্রা থাকায় আমরা এখন বলছি না শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে নদী এলাকা ও ফাঁকা জায়গায় কুয়াশা বেশি দেখা দিবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বাতাসের গতির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতি ৬ থেকে ১২ কি.মি. রয়েছে। আর বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া পরিস্তিতিতে বলা হয়েছে সামান্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
দেশজুড়ে আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে গ্রামের তৃণমূলের মানুষদের বেশ কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অনেকেই শীত ও হিমেল বাতাসে কষ্টে জীবনযাপন করছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা বেগ পাচ্ছেন শীত সামাল দিতে। এদিকে মধ্যরাত থেকে যান চলাচলেও বেশ বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে ঘন কুয়াশার কারণে।
এমএকে/এইচকে